সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
আতিকুর রহমান: আজ ‘ছড়াবো আলো শিক্ষা ও শিল্পে, তারুণ্যের জয়গানে’ এই স্লোগানকে ধারন করে গঠিত দেশের ক্যাম্পাস থিয়েটার ভিত্তিক সংগঠন ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলন, বাংলাদেশ এর ৬ষ্ঠতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ৭ম বর্ষে পা দিল ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলন। আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের কিশোর ও তরুণ শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল, মানবিক, সংস্কৃতিমনস্ক ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলন, বাংলাদেশ’ ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে সারাদেশের ১৬৪ টি ক্যাম্পাস থিয়েটারের মাধ্যমে এই সংগঠনটি তার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে সংগঠনটি ৫০০ টি ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রথম ক্যাম্পাস থিয়েটার উৎসব এবং ২০২০ সালে দ্বিতীয় জাতীয় ক্যাম্পাস থিয়েটার উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উপলক্ষে আগামী মার্চে সারাদেশের বাছাইকৃত ৫০ টি ক্যাম্পাস থিয়েটার নিয়ে ‘তৃতীয় জাতীয় ক্যাম্পাস থিয়েটার উৎসব-২০২১’ আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। সংগঠনটির কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিষ্ঠাতা হাবিব তাড়াশী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সৃজনশীল ও মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে বাঙালির সংস্কৃতি ও নাট্য-শিল্প বিষয়ে চর্চা; নতুন সংস্কৃতি কর্মী, অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক তৈরির মাধ্যমে জাতীয় সংস্কৃতি অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করণে সহায়তা; নাট্যবিষয়ে মৌলিক গবেষণা এবং গবেষণালব্ধ তথ্যের প্রতিষ্ঠা ও প্রচার; নাট্য-সাহিত্য ও শিল্পের ক্রমবিবর্তনের তথ্য ও বিবরণ সংকলন এবং এ বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করা; শিক্ষার্থী এবং সাধারণের মধ্যে নবধারার নাট্য-শিল্পের প্রসার এবং বাঙালি সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবোধ ও মননশীলতার উৎকর্ষ সাধন ও গবেষণার লক্ষ্যে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশের যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেনি হতে স্নাতকোত্তর শ্রেনি বা সমমান স্তর পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেখানে এ সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ৬ষ্ঠতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৭ম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে সংগঠনটি কেন্দ্রীয় পরিষদ, জেলা সংসদ এবং ইউনিট পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আগামীকাল সংগঠনটির কেন্দ্রীয় পরিষদের নির্বাহী সভার আহবান করা হয়েছে। সভায় করোনা পরবর্তী সময়ে সাংগঠনিক কর্মপরিকল্পনা এবং তৃতীয় জাতীয় ক্যাম্পাস থিয়েটার উৎসব আয়োজন সম্পর্কে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য যে, সৃজনশীল সংস্কৃতি চর্চা ও নাট্য আন্দোলনের প্রয়াসে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠান ইউনিট, জেলা সংসদ ও কেন্দ্রীয় পরিষদ এই তিনটি স্তরের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।